ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে…
⊕ প্রেম করার জন্য ছুঁকছুঁক না করা। মানে একটা মেয়ে দেখলেই তাকে গোলপোস্ট ভেবে নিয়ে তাকে গার্লফ্রেন্ড বানিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু না করা।
⊕ মেয়েদেরকে সমান মনে করা। ক্ষমতার জায়গায় থাকলে, অধস্তনদের সমান ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া। একজন দায়িত্ববান মেয়েকে একজন দায়িত্ববান ছেলের সমান করে দেখা।
⊕ মেয়ে হওয়ার জন্য জীবনে অনেক অনেক অতিরিক্ত বাধা বিঘ্ন বিপত্তি ঝামেলা আসে। সেগুলোকে এমপ্যাথি দিয়ে বোঝা ও সেজন্য তাদের কিছু ছাড়ছুট দেওয়া।
⊕ একজন ছেলের কয়েকজন লং-স্ট্যান্ডিং নারী বন্ধু থাকলে, (যারা কোনোদিন ছেলেটির প্রেমিকা/প্রেম আগ্রহের বিষয়বস্তু ছিল না), সে নতুন মেয়েদের চোখে অনেকটা বেশি ভরসাযোগ্য হয়ে যায় অটোমেটিক ভাবে।
⊕ মেয়েদের objectify না করা। মানে তাদেরকে কাম-লালসার বস্তুতে লিমিট না করা। সব পুরুষ ও সব নারীই কারও না কারো, কোনো না কোনো সময়ের object of lust- কিন্তু একজন মানুষকে একটা object এ লিমিট করা অন্যায়।
⊕ (ছেলে এবং) মেয়েদের কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনা। মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া। একটা গ্রুপের কোনো পরিকল্পনায় মহিলা সদস্যাদের ইনপুটকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত বা কর্মপরিকল্পনা নেওয়া।
⊕ মেয়েদের কথা মনোযোগ সহকারে শোনা, এবং equal হিসেবে কথোপকথন করা।
⊕ কোনো নারী সত্যিই কোনো ব্যাপারে বিদূষী/expert হলে একজন অধস্তন হিসেবে তাঁকে ব্যাপক সম্মান প্রদর্শন করা বা তাঁর বাধ্য হওয়া। এটা পুরুষদের মধ্যে স্ট্যাটিসটিক্যালি রেয়ার। তাই কোনো আসল মহান নারী এটা একজন পুরুষের মধ্যে দেখেন, তিনি তাঁর মঙ্গলের জন্য, উন্নতির জন্য নিজের জানপ্রাণ লাগিয়ে দেবেন। একজন পুরুষ বস/শিক্ষকের থেকে একটু বেশি হারেই।
⊕ নিজের মা/বোন/বৌদি/কাকিমা ইত্যাদি বাড়ির মেয়েদের কে সম্মান দেওয়া, প্রোটেক্টিভ আচরণ করা অন্য মেয়েদের কাছে আকর্ষণীয়।
কিছু নারী খরুচে, সিক্স প্যাক, পার্টিগোয়ারদের পছন্দ করেন। কিছু নারী সংযমী, ড্যাডবডধারী, nice guy, নির্ভরযোগ্য পুরুষ পছন্দ করেন। আপনি কোন দলের জন্য নিজেকে optimize করবেন, সেটা আপনার ব্যাপার।
⊕ কোনো মেয়ে পাত্তা দিলে তার চাকর হয়ে গেলে হবে না। সে অন্যায় দাবী করলে মুখের ওপর না বলে দেওয়া জানতে হবে। এই ধরণের পুরুষদের প্রেমে চান্স নেই। আমি এরকম বেশ কয়েকজন “কুলি” (বাসস্ট্যান্ড থেকে বাড়ি অবধি ব্যাগ বয়ে দেওয়া বন্ধু), “ড্রাইভার” (বাইকে করে রাতে দিনে শহর ঘোরানো বন্ধু) ইত্যাদিকে চিনি। এরা exploited পুরুষ। প্রেমের চান্স নেই। doormat পুরুষ নারীদের পছন্দের তালিকায় থাকে না।
হাইজিন (hygiene)- নারী শুধু না, অন্য পুরুষদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া, কর্মক্ষম, স্বাবলম্বী পুরুষ মেয়েদের পছন্দের। স্বাধীনচেতা পুরুষও মেয়েদের পছন্দ। আবার অনেকে বেকার ধনীর দুলাল পছন্দ করেন। দেখুন কোন দলে যেতে পারেন।
মেয়েরা, সিনেমায় যতই দেখাক, nagged হতে পছন্দ করে না। নতুন জায়গায় হলে তো রীতিমত আতঙ্কে থাকে। আত্মপ্রত্যয়ী ছেলেরা, যারা অ্যাপ্রোচ করতে পারে, তাদের মেয়েরা পছন্দ করে, কিন্তু ন্যাগ করা (বারংবার সম্পর্কের অনুরোধ, উত্তর হিসেবে “না” শোনা সত্ত্বেও পিছু না ছাড়া) দের অপছন্দ এবং/অথবা ভয় করে।
যেসব ছেলেরা খুব মনোযোগ দিয়ে কথা শোনে, তাদের মেয়েরা পছন্দ করে।
মেয়েরা ভরসাযোগ্য পুরুষমানুষ খুঁজতে চায়। যাকে লং-টার্মে ভরসা করা যায়।
এগুলো আমার কিছু পর্যবেক্ষণ মাত্র। জেনারেল থিওরি দেওয়ার দু:সাহস করলাম না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।